মাধ্যমিক শিক্ষাঃ গ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান কি হবে।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন চলমান। চলতি বছরে ষষ্ঠও সপ্তম শ্রেণিতে তার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে , ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন শুরু হবে, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীকে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আনা হবে ।তবে এটিকে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মাধ্যমিকের অনেক শিক্ষক তাদের অপারগতা ও ঘাটতির কথা স্বীকার করেছেন । তবে যোগ্য শ্রেনি শিক্ষক তৈরির বিকল্প নেই বলে মনে করেন।
সিটি কর্পোরেশন,জেলা সদর পৌরসভা,অনান্য পৌরসভা,উপজেলা সদর ও পৌরসভা বাদে
গ্রামীন জনপদে মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১৫৯৮৭ টি যা মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতকরা হার
৭৬% ,শিক্ষক আছে ১৮৭০৯৭ জন যা মোট শিক্ষকের
শতকরা হার ৬৭% ও ছাত্র/ছাত্রী আছে ৭০৬২৮৭৩ জন, যা মোট ছাত্র/ছাত্রীর শতকরা হারে ৬৯%
।
গ্রামিন জনপদে পেশার দিক দেখলে শতকরা হারে ১১.৫৫% চাষী,দিনমজুর আছেন ৪৩.৮৫% ও শিক্ষক আছেন ১০.৬৭% ।ছাত্র/ছাত্রীর বিবেচনায় দেখা
যায় দিনমজুর পরিবার থেকে আসছে শতকরা হারে ২৪.৬০%
ও ভুমিহীন পরিবার থেকে ১৬% ।
গ্রাম ভিত্তিক শুধুমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক/শিক্ষিকা
আছেন বাংলায়-১৭০৯৬ জন, ইংরেজিতে-১৯০০৬ জন, গনিতে-১৮৮৬৯ জন,জীব বিজ্ঞানে আছেন ৯২৫১ জন,সামাজিক
বিজ্ঞানে আছেন ২৮৮৩৩ জন,শারিরীক বিজ্ঞানে আছেন-৭৩৬১ জন,কৃষি বিজ্ঞানে আছেন-১৪২০৮ জন
ও শারিরীক শিক্ষায় আছেন-১৪২৭৬ জন ।
ঝরে পড়ার হার শতকরা হারে ২০২২ সালে আছে ৩৬.৯৭% যা ২০২১ সালে ছিল শতকরা
হারে ৩৫.০৭% সুত্রঃ বেনবেইস প্রকাশকাল এপ্রিল-২০২৩।
অনেক আলোচনা সমালোচনার পরে অবশেষে নতুন ভাবে নতুন রুপে ভিন্ন আঙ্গিকে বাস্তবায়িত
হতে চলেছে পাঠ্যক্রম-২৩।বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শিক্ষক প্রশিক্ষন।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক সাথে এত বড় পরিবর্তন
আগে কখনো হয়েছে বলে মনে হয় না। সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তন হবে,যুগের সাথে তাল মিলিয়ে
নিতে,নিজেকে উজ্জল আগামীর জন্য প্রস্তুত করতে অনেক কিছু পরিবর্তন হবে পরিবর্তন করতে
হবে।সে পরিবর্তন কে মানিয়ে নিয়ে, মনে নিয়ে সুন্দর আগামীর দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সুন্দর
আগামী বির্নিমানে প্রধান ভুমিকা পালন করতে
হবে জাতীর শিক্ষক সমাজ কে ,সমাজ বদলে দেওয়ার প্রধান মুখ্য দায়িত্ব যারা কাধেঁ তুলে
নিয়েছেন,যিনি পথ প্রদর্শক,সবার সামনে মাথা নত করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা যায় যাকে ।
শুরুতে একটা তথ্য আপনাদের সামনে
উপস্থাপন করেছি। মাধ্যমিক স্তরে গ্রামিন জনপদ ও শহরের শিক্ষার শিক্ষা বিস্তরনের যে
পার্থক্য বিদ্যমান তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
অবকাঠামো গত অবক্ষয় গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখনো বিদ্যমান।এখনো ও পলেষ্টারা
ছাড়া দেয়ালের টিনের ছাউনির নিচে শিক্ষার্থীরা স্বপ্নের বীজ বপন করে চলেছে। মাধ্যমিক
স্কুলে শুরুতে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়,বছরের পর বছর শ্রেনি পরিবর্তনের সাথে সাথে
কমতে থাকে শিক্ষার্থী সংখ্যা । এর অনেক গুলো কারনের মধ্যে প্রধান কারন অভিভাবকের অসচেতনতা
। সরাকারী তথ্য মতে ৫০% -র বেশি শিক্ষার্থী আসে দিনমজুর ও কৃষক পরিবার থেকে। ঊক্ত পরিবার
থেকে উঠে আসা শিক্ষার্থী কে স্বুলে ধরে রাখতে
গেলে দ্বন্দ সৃষ্টি হয় পরিবারের আর্থীক দৈন্যতা বনাম শিক্ষা ।
অনেক বাবা-মা ভাবেন স্কুলে দিয়ে কি হবে, তার চেয়ে কাজ করে কিছু উপার্জন
করুক। আর এ চিন্তা থেকেই শিশুর স্কুলের চিন্তা উদাও হয়ে যায়।পরিবারের একটা ধারনা আছে বেশি পাস না দিলে কোন চাকরী হবে না। ধারনা টা একেবারে
অমুলক নয় । প্রাইমারী স্কুলের নাইটগার্ড ও এম এল এস এস পদে ও কিন্তু এম এ পাস চাকুরীপ্রার্থী
আবেদন করছে।যদি এমন হতো সবার জন্য উচ্চ শিক্ষার দরকার নেই কিন্তু একটা নির্দিষ্ট পর্যায়
পর্যন্ত পড়াশুনা করে যাতে কাজে ঢুকে যেতে
পারে তা নিশ্চিত করা ।
গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন পানীয় জলের
অনেক সমস্যা। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বয়:সন্ধিতে পৌছায়। শিক্ষার্থীদের অনেক
শারীরিক,মানসিক ও আচরনের পরিবর্তন হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
থাকতে হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সঠিক স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন পানীয় জল পায় না। তাই
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে চাই না। বয়:সন্ধিকালীন সময়ে ও পরবর্তী শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে সঠিক স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন পানীয় জলের ব্যবস্থায় অনেক ঘাটতি বিদ্যমান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশ সাধনের জন্য খেলাধুলার
বিকল্প নেই। তাই প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলাধুলার মাঠ অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু গ্রামের অধিকাংশ
স্কুল-কলেজ খেলাধুলার জন্য মাঠ নেই। শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশের জন্য অবশ্যই প্রতিটি
বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ থাকা প্রয়োজন। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে
মেল বন্ধন সৃষ্টি করে এর ফলে একে অপরের সাথে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও প্রতিযোগিতার মনোভাব
গড়ে উঠে। যা শিক্ষাথীদের পরবর্তী জীবনে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে লাইব্রেরী ও বিজ্ঞানাগার-র খুব অভাব।
শিক্ষার্থীদের বিষয় জ্ঞানে দক্ষ করতে হলে হাতে কলমে শিক্ষা দিতে বিজ্ঞানাগারের কোন
বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে গ্রামের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে লাইব্রেরীও বিজ্ঞানাগার
নেই। আর এর ফলে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক জ্ঞান লাভে ব্যর্থ হয়। একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
অবশ্যই লাইব্রেরী ও বিজ্ঞানাগার থাকা উচিৎ। তাহলেই সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদর্শ প্রতিষ্ঠানে
পরিনত হবে। এখানে একটা কথা না বললে নয় ,বিজ্ঞানাগার ও লাইব্রেরি আছে একটা কমন রুমের
এক কোনায় আর লাইব্রেরি আছে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারের পিছনে !
এবার আর ও একটা তথ্য দিতে চাই,বেনবেইস তথ্য মতে গ্রামে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
সংখ্যা ১৫৯৮৭টি।ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষক আছেন ১৯০০৬ জন যা প্রতি স্কুলের হিসাবে এক জন,বাংলা
বিষয়ে আছেন ১৭০৯৬ জন যা প্রতি স্কুলের হিসাবে এক জন,গনিত বিষয়ে আছেন ১৮৮৬৯ জন যা প্রতি
স্কুলের হিসাবে এক জন আবার সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে আছেন ২৮৮৩৩ জন যা প্রতি স্কুলের হিসাবে
প্রায় দুই জন।তাহলে আমাদের কাছে স্পষ্ট যে একজন ইংরেজি ,বাংলা ও গনিত বিষয়ের শিক্ষক
ষ্ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনি পর্যন্ত শ্রেনি পাঠ পরিচালনা করেন এবং এও স্পষ্ট যে সামাজিক
বিজ্ঞানের শিক্ষক কে দিয়ে দায় উদ্ধার হতে হয় ।
২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসি -র পথ চলা। এর আগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যত শিক্ষক
নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন অধিকাংশই নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের শিক্ষক নন,স্বাভাবিক ডিগ্রী পাশ
করে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের আর্শীবাদ নিয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। নিযোগ প্রাপ্ত শিক্ষক
যে বিষয়ে ভালো সে বিষয়ের জন্য তাকে সুপারিশ করা হয়েছে।তিনি বনে গেলেন বিষয় ভিত্তিক
শিক্ষক।
একটা বাস্তব উদাহরন উপস্থাপন করা প্রয়োজন,একজন শিক্ষক স্বাভাবিক ডিগ্রী
পাশ করে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেন। সে ইংরেজি বিষয়ে ভালো বলে প্রধান শিক্ষক মহোদয় তাকে ষষ্ঠ
ও সপ্তম শ্রেনির ইংরেজি ক্লাস পরিচালনার দায়িত্ব দিলেন,সব কিছু চলমান থাকলে ও কোথায়
যেন একটা ঘাটতি প্রধান শিক্ষক বুজতে পারছেন। উক্ত শিক্ষক নিজেকে ইংরেজি বিষয়ে পোক্ত
করতে প্রানান্ত চেষ্টা করছেন। এ দিকে এনটিআরসি যখন বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের জন্য নির্দিষ্ট
বিষয় উল্লেখ করা শুরু করল এবং বিষয় ভিত্তিক
শুন্য পদের চাহিদা নিল ,প্রধান শিক্ষক মহোদয় বিশেষ ক্ষমতা বলে ইংরেজির শিক্ষক কে বাংলা
বিষয়ের উল্লেখ করে ইংরেজি বিষয়ের পদ শুন্য বলে চাহিদা পত্র প্রেরন করলেন । যথারিতী
ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে স্কুলে যোগদান করলেন। এই হলো আমাদের প্রানের
গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
২০১৮ সালে সর্বশেষ প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের
একাডেমিক সুপারভিশন রিপোর্টে মাধ্যমিকের শিক্ষকদের দুরবস্থার চিত্র ফুটে ওঠে। সেখানে
বলা হয়, ৪০.৮১ শতাংশ শিক্ষক নিজেরা সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে পারেন না। ৫৯.১৯
শতাংশ শিক্ষক নিজেরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে পারেন। অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহায়তায়
প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেন ২৫.৯৯ শতাংশ শিক্ষক। আর বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র কিনে আনেন ১৪.৮৩
শতাংশ শিক্ষক।
যে শিক্ষক মন্ডলী সৃজনশীল বুঝতে পারে নাই বা চেষ্টা করছে পারে নাই তারাই
তো বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যমান।তাইলে আমুল পরিবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থায় কভিাবে
নিজেকে বা নিজের যোগ্যতা কে প্রমান করতে পারবে? সাত দিন বা সতের দিনের প্রশিক্ষন কি
যথেষ্ঠ? মুল্যায়নের যে পদ্ধতি তাতে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে,জানতে হবে পড়তে হবে এবং
চর্চ্ করতে হবে। অন্যথায় কোন ভাবেই বোঝা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ
শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর কথা বলা হলে ও গত ১১ বছরে তা বাস্তবায়ন করা
হয়নি। শিক্ষকের বেতন যদি হয় ১২০০০ কিংবা ১৬০০০
হয় তাহলে প্রতিযোগিতার বাজারে কিভাবে নিজেকে
নিজের পেশায় উজাড় করে করে দিবেন? শহরের শিক্ষক গন না হয় বিকালে যে কোন ব্যবসা
,প্রাইভেট
টিউশনি করতে পারে, গ্রামের শিক্ষক তিনি কি করবেন প্রাইভেট টিউশনি করবেন না ক্ষেতে কাজ
করবেন।নিজের সংসার টেকাতে যেয়ে মহান পেশার কথা ভুলে যেতে হয়।
আমাদের সমাজে শিক্ষকদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। শিক্ষকতা পেশাকে
একটি নিম্ন মানের পেশা হিসেবে দেখা হয়। ফলে শিক্ষকদের মাঝে একটি হীনমন্যতার ভাব কাজ
করে যা তার প্রাত্যহিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে।
গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণী কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য
অর্থাৎ শিখন শেখানো কার্যক্রম সহজ সরল সুন্দর ও আকর্ষনীয় পরিচালনার জন্য বিষয় ভিত্তিক
যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব। বিষয় ভিত্তিক যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকদের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী
বিষয়বস্তু বুঝতে না পেরে দিনে দিনে লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে পড়ে।
আগের মতো আর ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা
করে না। সন্ধ্যার পর বাজার ও রাস্তার মোড়ে আড্ডা দেয়। হাতে হাতে স্মার্টফোন। একদম কম
বয়সী ছেলেমেয়েরাও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেই নি এমন ছেলেও
প্রেমিকাকে নিয়ে উধাও। ভাবা যায়! ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়স। গ্রামে একটা নীরব অধঃপতন হচ্ছে—এটা কেউ বুঝছে না।
যাঁদের বোঝার কথা, তাঁরা সবাই শহরে থাকেন।
আমাদের শিক্ষা প্রশাসনের মনিটরিং ও ফিডব্যাক প্রক্রিয়া আধুনিক ও যথাযথ
নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য কার্যকর কোন ব্যবস্থা
নেই। অধিকাংশ মনিটরিং কার্যক্রমই কাগজে থাকলেও বাস্তবে নেই। ফলে লেখাপড়ার গুণগত মানোন্নয়ন
হচ্ছে না।
আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলীকে যোগ্য করে তুলতে প্রশিক্ষনের কোন বিকল্প
নেই।
১.নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ইনহাউজ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২.উপজেলা ভিত্তিক বিষয় অনুযায়ি শিক্ষক প্যানেল তৈরি করতে হবে যারা বিভিন্ন
সময়ে স্কুলে স্কুলে পাঠ উপস্থাপন,পাঠ বিস্তরনে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান দিবেন ।
৩.মুল্যায়নে সৎ ও সততার পরিচয় দিতে হবে।
সর্বোপরি একটা কথা না বললে নয়,শিক্ষক কে তার প্রাপ্য সম্মান টুকু দিতে
হবে।বাস্তবতার সাথে মিল রেখে শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি করা সময়ের দাবী।
1 Comments
খুব ভালো।
ReplyDelete